প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ঠাকুরগাঁও অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

প্রিয়,
সচেতন অভিভাকবৃন্দ।
মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ মরহুম অধ্যাপক মাওলানা মোঃ ইয়াছীন সাহেবও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন সাতানী ইউনিয়নস্থ মঙ্গলকান্দি গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি ক্রমান্বয়ে কামিল (মাস্টার্স) পর্যন্ত উন্নীত হবে ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!

সভাপতির বাণী

image-not-found

পড়! তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন (সূরা-আল্লাক্ব :১)। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে বেগবান ও আধুনিকায়ন করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসসহ বিভিন্ন স্তরে তথ্য-প্রযুক্তি যে অবদান রাখছে তার জন্য বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন ও সংস্কার সাধিত হচ্ছে। বিশ্বাবাসীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত একটি উন্নত জাতি উপহার দেওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে। তবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ধারাগুলো কোনটাই শিক্ষার উদ্দেশ্য সাধনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সাধারণ শিক্ষা দ্বারা দক্ষ ও ঐশ্বরিক জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ তৈরীতে সহায়তা করছে বটে, কিন্তু তা মূল্যবোধ ও নৈতিকতা অর্জনে যথাযথ ভূমিকা পালন করছে না। আবার মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিকতা সম্পন্ন একদল মানুষ তৈরীতে সফল হলেও দক্ষ ও সৃজনশীল মানুষ তৈরীতে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করতে পারেনি। তাই আজ প্রয়োজন এমন একটি সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর ব্যক্তি সত্তার বিকাশের পথ হবে উন্মুক্ত। চরিত্র হবে সুন্দর, ঈমান হবে সুদৃঢ় ও সমাজের প্রতি আপন দায়িত্ব পালনের অনুভূতি হবে তীব্র। স্বীয় দায়িত্ব পালনে জন্য পরকালে জবাব দিহিতার ভয় থাকবে সদা জাগ্রত। সেই প্রয়োজন পূরণের অবদান রাখার উদ্দেশেই বিশ্বের আধুনিক ও ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার আলোকে একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পদ্ধতি উপহার দিতে যাত্রা শুরু করেছি।